Friday, 16 September 2011

ছবির পেছনের গল্প

­ছবি সম্বন্ধে আমি তেমন কিছুই বুঝি না। তবুও আমি যে ছবি উঠাবার চেষ্টা করি এটা বলতেও আমার ভারী লাজ! আজকাল ক্যামেরার যেসব নমুনা দেখি...।
এখন অনেককেই দেখি আস্ত কামানসম ক্যামেরা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। পিঠে প্যারাসুটের মত ব্যাগ। ওই ব্যাগে নাকি ট্রাইপড-ল্যান্সের নামে 'আক্কাড়-পাক্কাড়' হেন জিনিস বাদ নাই। অনুমান করি, ওই ব্যাগ থেকে জ্যান্ত পাইথন বের হওয়াও বিচিত্র কিছু না।
এই সব কামানের দাম নাকি লাখের নীচে না। এই কামান নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, এটাই নাকি এখনকার 'এস্টাইল'! এমন দুজন নামকরা কামানওয়ালাকে আমি চিনি (নাম বলে লজ্জা দিতে চাচ্ছি না) যারা এক বইমেলায় আমার এবং আমার 'ইস্তারি সাহেবার' ফটো 'খিঁচিয়ে' ছিলেন। আফসোস, ওই ফটো নাকি জনসমক্ষে বের করা বিপদজনক স্থির করে আর আলোর মুখ দেখেনি।

নিরুপায় আমার ভরসা থ্রি পয়েন্ট টু মেগাপিক্সেলের সেল-ক্যামেরা। কারণ, থাক...। আমি বিলক্ষণ জানি, এই জিনিসটা ক্যামেরা সমাজে শূদ্র টাইপেরও না, আরও নীচু জাতের। মেথর শ্রেণীর। কী আর করা!
শ্লা, কাছের লোকজনও বিচিত্র। এরা রসিক আছে। বৈদেশি লোকজনেরা হাবিজাবি জিনিসপত্তর নিয়ে আসেন। কেন রে বাপু, ভাল একটা ক্যামেরা নিয়ে আসলে কী আমি 'নাগ' করব! বৈদেশ থেকে ক-দিন আগে আমার জন্য একজন নিয়ে এলেন জাঁকালো এক ব্লেজার। তাঁর কেমন কেমন করে যেন একটা ধারণা জন্মেছে আমি ব্লেজার গায়ে দেয়ার জন্য ছোঁক ছোঁক করে বেড়াচ্ছি...। ব্লেজার গায়ে না-দিলে আমার চলেই না। আমি ব্লেজার গায়ে না-দিলে শীত পগারপার হবে!...।

ইঞ্জিনের নৌকায় থেকে ছবি উঠাবার সময় আজ পা হারাতে বসেছিলাম। মাঝি নামের মানুষটার সতর্কতায় এই যাত্রায় আমার আর পদত্যাগ করতে হলো না। নইলে বেচারা আমি, আবুল থেকে হাবুল হয়ে যেতাম! মাঝি, ওই সহৃদয় মানুষটার নাম জানা হলো না। আমার ছবি উঠাবার সাবজেক্ট হিসাবে সাপ-ব্যাঙ-গরু-ছাগল কিছুই বাদ গেল না, বাদ গেলেন কেবল এই মানুষটা! কী এক চুতিয়া টাইপের মানুষ আমি!

যাই হোক...। আমি যখন তিতাস নদীর ছবি উঠাচ্ছিলাম [১]... কখন যে আমি অন্যের ক্যামেরায় ধরা পড়েছি...

*ছবি ঋণ: বিশ্বজিত পাল বাবু

সহায়ক সূত্র:
১. তিতাস নদী: http://www.ali-mahmed.com/2012/01/blog-post_07.html

Sunday, 17 July 2011

তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর...

­"তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর..."। বাকীটা ভুলে গেছি! কোন কিছু মনে পড়ছে না, এ কারণে এখন আর ভারী শ্বাস ফেলি না কারণ এতদিনে আমি জেনে গেছি কোন-না-কোন অপূর্ণতা কারও-না-কারও থাকেই। যখন সবাইকে মগজ বিলি করা হচ্ছিল তখন আমারটা ভুলে ভরা হয়নি! :(


যাক, কখন এই পেয়ারা গাছটা লাগিয়েছিলাম মনে নাই। কারণ জায়গাটা 'অজাগা-কুজাগা' মানে ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না তেমন।
ওয়াল্লা, 'আয় বৃষ্টি ঝেপে'-এর মত আয় পেয়ারা ঝেপে টাইপ পেয়ারা ধরেছে।

আমার এখানে আসার জন্য যারা গড়িমসি করছিলেন তাদের জন্য উপদেশ, 'পেয়ারা খাইলে আর দিরং করিয়েন না...'।

Thursday, 14 July 2011

সুন্দর-অসুন্দর!

­এই মহাশয়ের নাম, পিরানহা- রাক্ষুসে মাছ! অতি লোভের কারণে আমাদের দেশে এই মাছের চাষ করা হয় এটা যে জানতাম না এমন না, কিন্তু...।


আমি পূর্বে যে পোস্ট দিয়েছিলাম হাইড হাউজ [১] নামে, ওখানকার দৃশ্য দেখে একজন মন্তব্য করেছিলেন এটা স্বর্গ নাকি! যিনি এই মন্তব্য করেছেন তাঁর এই মন্তব্যে অনেকে অতিশয়োক্তি খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু জায়গাটা আসলেই অসম্ভব সুন্দর!
কিন্তু এখানকার একটা বিষয় আমাকে বড়ো পীড়া দেয়। সুন্দরের পাশাপাশি তীব্র অসুন্দরের ছোঁয়া!

কী আর করা! এ গ্রহের সবচেয়ে সুদর্শন মানুষটিও বয়ে বেড়ান একপেট আবর্জনা। ভাগ্যিস, অনেকখানি ঢেকে রাখে প্রকৃতির চাদর, চামড়া দিয়ে মোড়ানো। বাকীটা কাপড়ের বদান্যতা।

এই যে বিশাল পুকুর, এখানে যিনি মাছ চাষ করেন তাঁকে মোটেও জেলে বলার যো নাই। কেবল যে অনর্গল ইংরাজি বলেন এই না, অপূর্ব তাঁর বাচনভঙ্গি। দুনিয়ার তাবৎ বিষয় তাঁর নখদর্পনে। তাঁর সঙ্গে যে কেমন করে সময় কেটে যায় বোঝার যো নেই।
আমার সঙ্গে ঠোকাঠুকি লাগার একটাই বিষয় সেটা হচ্ছে তিনি দেশের উপর বীতশ্রদ্ধ- দেশটা ঠিকমত চলছে না, চলছেন না দেশের লোকজনও। সুযোগ পেলে যে কোন উপায়ে তিনি এই দেশ থেকে ইউরোপের কোথাও চলে যেতে চান। তাঁর নাকি শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। দেশ নিয়ে তাঁর কমন সংলাপ হচ্ছে, '...হেল আউড অভ হিয়া...'।

তিনি অর্জুনের মত অব্যর্থ নিশানায় একের পর এক যুক্তির তীর ছুড়ে আমাকে কাবু করার চেষ্টা চালিয়ে যান। আমি দুর্বল মানুষের মত চিঁ চিঁ করি। আমি বিশেষ যুক্তি-টুক্তির ধার ধারি না। আমার সাফ কথা, প্রয়োজনে আমার আয়ু পাঁচ বছর কমে যাক কিন্তু দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না। শেষ সময় পর্যন্ত দেশের মাটি কচ্ছপের মত কামড় দিয়ে পড়ে থাকব। এখানে দেশের প্রতি ভালবাসা-টাসা কিছু না। আমি একজন দুর্বল মানুষ ততোধিক দুর্বল আমার মন!

এই মানুষটা এখানে মাছ চাষ করতেন এটা আমি জানতাম কিন্তু তিনি যে এখানে অতি লাভের কারণে পিরানহা মাছ চাষ করেন এটা আমার জানা ছিল না। তিনি আমাকে এর পেছনে অনেক যুক্তি-টুক্তি দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করলেন তাঁর কোন যুক্তিই আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি।

এই হচ্ছি আমরা। এমনিতে আমরা লম্বা লম্বা বাতচিত করব কিন্তু নিজেরা কি এটা জানতে চাইব না। আফসোস, বড়ই আফসোস!
এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট...।

সহায়ক সূত্র:
১. হাইড হাউজ: http://chobiblog.blogspot.com/2011/07/blog-post_07.html   

Thursday, 7 July 2011

হাইড-হাউজ


­আমাকে খোঁজার লোকজন তেমন বিশেষ নেই। তবুও কখনও কখনও কেউ-কেউ আমায় খুঁজে পান না, ফোনে পান না। পরে এটা নিয়ে জবাবদিহিতা করলে আমি হালকা চালে বলে দেই, হয়তো নেটওয়ার্ক ছিল না। ডাহা মিথ্যা! এই মিথ্যাচারের জন্য আমার বুক কাঁপে না।
বিষণ্ন বোধ করলেই ফোন-টোন বন্ধ করে সোজা এই জায়গাটায় চলে যাই। এখানে একটা কুড়ে ঘরের মত আছে। কঠিন সময় যে কেমন করে কেটে যায়!


জায়গাটার ছবি দিয়ে দিলুম। কেউ পারলে জায়গাটা খুঁজে বের করুক। :-D

Saturday, 2 July 2011

অপার সৌন্দর্য!

­আমার সাধারণ সেল-ফোনের ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সেই ক্ষমতা কই এর পুরোটা সৌন্দর্য ধরে রাখে! মাটি ব্যতীত কেবল তুলোর মাঝে সামান্য পানি রেখে এই বীজগুলো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কী তরতর বেড়ে উঠেছে! কী গাঢ় সবুজ!
এই ছোট্ট একটা দৃশ্য মনটা অন্য রকম করে দেয়- আশেপাশের সমস্ত মালিন্য তখন তুচ্ছ মনে হয়!

আলো আন্ধার
 

Thursday, 30 June 2011

:)

­বি, এ ডিগ্রি প্রধান শিক্ষক পদবীকেও ছাড়িয়ে যায়!

Sunday, 19 June 2011

বিষ বানানোর কথা

­বেশ ক-দিন ধরেই বাচ্চাদের এবং বাচ্চাদের সাঙ্গোপাঙ্গদের ফিসফাস শুনছিলাম। নিজেদের মধ্যে সবিরাম গুজগুজ! লক্ষ করেছি, এরা নিজেদের মধ্যে কিসব যেন গোপন শলা করছে।
যে কাগজটা নিয়ে এদের চরম গোপনীয়তা তা কেমন কেমন করে যেন আমার হাতে চলে আসে। আমি নিশ্চিত, এটা এরা বুঝতেও পারেনি। হু-হু, আমার বুদ্ধি যে এদের চেয়ে খুব একটা কম না এটা কি এরা জানে না! কাগজটার ফটোকপি করে মূল কাগজটা জায়গায় রেখে দিয়েছি।

এটা বিষ বানাবার গোপন রহস্যটা আমি এখানে দিয়ে ভুল করছি কিনা বুঝতে পারছি না। কোকাকোলা বানাবার রহস্য জনে জনে জেনে গেলে লাভ কী! যদিও ভুলভাল বানানে লেখা কারণ লেখক মহাশয় ক্লাশ ওয়ানে পড়ুয়া!
উপকরণগুলো যতটুকু মনে পড়ছে নষ্ট হয়ে যাওয়া ট্যাবলেট, গাছের বিভিন্ন পাতা, বহু পূর্বে ফেলে দেয়া একটা মেক-আপ বক্স। হাবিজাবি আরও অনেক কিছু। তো, কাগজে যা লেখা ছিল তা এমন:
"বিশ বানানোর কথা
১ নাম্বার: পানি নাও। ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া নষ্ট টেবলেট পেলে তাকে হাম্বালদাস্তাতে গোরা করবে।
২ নাম্বার: গুরাগুলি পানির সাথে মিসাও। তারপর মেকআপ বকস বের করে যে পানিতে টেবলেট গুরা করসো সেই পানির ভিতর মেকাপবকস থেকে রং দাও।
৩ নাম্বার: যেই পানিতে মেকআপ বকসের রং দিসো ওই পানিটার মধ্যে তুমি নীল ফালাবে। নীল একটা জিনিস। এটা দিয়ে আমরা কাপড় ধোই। সেটা তুমি আমাদের বাসায় আসলে বুঝবা।
৪ নাম্বার: যেই পানিতে টেবলেট ও রং দিয়েছিলে সেই পানিতে সেম্পু ঢালবে। সেম্পু দিবে যত ইচ্ছা তত।
৫ নাম্বার: সেম্পুটাকে একটা বুতলে ভরে মুখ লাগিয়ে দশ মিনিট ধরে এটাকে ঝাক্কাবে।
৬ নাম্বার: তারপর সাবান নিবে, জালিতে ঘসবে। যে জালি দিয়ে আমরা সাবান ঘসে ঘসে আমাদের শরীর ঘসি। সেই জালি।
৭ নাম্বার: সাবানটার অনেক ফেনা করবে। তারপর এটাকে আরেকটি বুতলে ভরবে। তারপর মেকাপ বকস থেকে যে কোন রং দিতে পার। মেকাপ বকস না থাকলে এইটার জন্য আমার বাসায় আসতে পারো।
৮ নাম্বার: যে পানিতে ফেনা ঢেলেছিলে ওই পানিটা বারবার করে নাড়বে প্রায় ১২ মিনিট নাড়বে।
নাম্বার : সামান্য একটু পেসট দিবে তারপর লারা দিবে।
১০ নাম্বার: সেই গাছের পাতা নিবে যে গাছের পাতায় রস আছে।
১১ নাম্বার: হাম্বলদিস্তা দিয়ে সেই পাতাকে ছেচবে তারপর সেই রসটা সেই বুতলে ঢালবে।
১২ নাম্বার: চামচ দিয়ে যে বুতলে রস ঢেলে ছিলে সেই বুতলের মুখ্খা লাগিয়ে প্রায় ৫ মিনিট ঝাক্কাবে ।


কাগজটায় আর কিছু লেখা নাই। বিষ বানাবার গোপন রহস্যের কি এখানেই সমাপ্তি নাকি... এটা আমার জানা নেই। ঠিক করেছি হাতেনাতে এই মারাত্মক বিষ বানিয়ে নিশ্চিত হবো।

Saturday, 18 June 2011

ছোট-ছোট আনন্দ

­আনারস ধরা নিয়েই আমাদের আনন্দের শেষ ছিল না। যেটা নিয়ে একটা লেখাও দেয়া হয়েছিল [১]। একটাই গাছে একটাই আনারস, তবুও কী আনন্দ! তবে এই আনারস শেষ পর্যন্ত খাওয়ার জন্য উপযোগী হবে বা চোরের হাত এড়াতে পারবে এই জোর বিশ্বাস ছিল না।

বাচ্চাদের এবং তাদের পরিচিত বাচ্চাদের আজ মহা আবিষ্কার! আনারসটা গাছ থেকে আলাদা করা মাত্র বিশ্বকাপের ট্রফির মত এদের উল্লাস
 
সহায়ক সূত্র:
১. অদেখার পাল্লা: http://chobiblog.blogspot.com/2011/03/blog-post_13.html

Wednesday, 15 June 2011

প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা

­কোথাও আমি লিখেছিলাম, 'একজন মানুষ হওয়ার জন্য প্রকৃতির কাছাকাছি থাকাটা জরুরি, অতি জরুরি'।

সবুজে, সবুজ জামা পরে এ এমন করে গাছটাকে জড়িয়ে ছিল, মিশে ছিল, ঠিক আলাদা করে উঠতে পারিনি! বোঝার পর মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে ছিলাম।
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পারাটা যে কী জরুরি এটা হয়তো এই শিশু এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারবে না। কিন্তু প্রকৃতি তাকে ভুলবে না, হাতে ধরে ধরে শেখাবে...

Wednesday, 1 June 2011

ছাগল- ছাগলামি- ছাগলাদ্যঘৃত!

ছাগল নিয়ে আমাদের কোথায় যেন একটা ভজকট আছে। এদের নিয়ে অহেতুক বিস্তর হাসাহাসি হয়। কোনও মানুষের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করার জন্য তাকে ছাগলের সঙ্গে তুলনা করা ব্যতীত আমাদের গতি কী! 

কেন আমরা এমনটা করি? প্রাণীকূলে কী ছাগল ব্যতীত আর কোন নির্বোধ প্রাণী নেই! খুব একটার দূরে যাই না, মানুষ কাক খায় না তবুও কাক মানুষকে বিশ্বাস করে না, কবুতরের কিন্তু মানুষের উপর বিশ্বাসের অভাব নাই অথচ কবুতর পেলেই মানুষ কপ করে খেয়ে ফেলে। কবুতরের সামনে ছুঁরি শান দিলেও এ খুনির হাত থেকে গম খাবে! কী নির্বোধ!





অথচ নির্বোধের বদনাম কিনা কেবল ছাগলের! এই ছাগল মহাশয় ওষুধের দোকানে কেন এসেছিলেন এটা আমার জানা নাই। আই বেট, ছাগলাদ্যঘৃত কেনার জন্য আসেননি! জিগেস করিনি কারণ বাংলা ব্যতীত অন্য ভাষার উপর আমার দখল নাই এটা আজ সলাজে স্বীকার গেলুম।

ইনার ছবি 'খিঁচাবার' বেলায় খুব একটা আপত্তি আছে এমনটা তো মনে হলো না! চমৎকার মাথা ঘুরিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখিও হয়েছেন। ছবি তোলার সময় 'চিজ' বলার নিয়ম থাকলেও আমি ইচ্ছা করেই বলিনি কারণ এ আবার ফটাফট 'এংরেজি' বলা শুরু করলে সমস্যায় পড়ে যেতাম...।  

Sunday, 10 April 2011

প্রকৃতির সন্তান

­সচরাচর এমন নীচু গাছে পাখি বাসা বাঁধে না- এদের আমার সঙ্গে কী যেন একটা ঝামেলা আছে [১] :)। আমি ভাল পাখি চিনি না- সম্ভবত টুনটুনি। পাখিদের ভুবনে যারা রাক্ষস-টাক্ষস হিসাবে পরিচিত এবং আমাদের ভুবনে যার নাম কাক এদের চোখ এড়াবার জন্য বাসাটার কারুকাজ দেখে আমি মুগ্ধ! কেবল দুইটা পাতাকে কী চালাকির সঙ্গেই না জোড়া দেয়া হয়েছে!

অ আল্লা, এর ভেতর দেখি আবার বাচ্চাকাচ্চা-কাচ্চাবাচ্চা! মার নাই পাত্তা!
আমি ছবি তোলার চেষ্টা করলেই বিরাট হাঁ করছে। এদের ধারণা আমি খাবার নিয়ে এসেছি।
আমরা মানুষরা যে কী বদ এটা এরা সম্ভবত এখনও শেখে নাই...

সহায়ক সূত্র:
১. সালতামামি: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_31.html  

Sunday, 27 March 2011

কান পেতে রই...



এটা শোনার পর মনে হচ্ছে বেহালা একটা না কিনলে চলছে না... :)

Thursday, 24 March 2011

গাতক এবং ঘাতক

আজকাল বাংলা গান নিয়ে অনেক ধরনের খেলা চলছে। এগুলোকে অবশ্য গান না বলে ঘান (!) বললেই ভাল হয়।  যিনি গান গান তাঁকে বলে গাতক- যে ঘান গায় তাকে বলে ঘাতক!
একবার হৃদয় খানের লাইভ একটা অনুষ্ঠান দেখে খুব লজ্জা পেয়েছিলাম কারণ তার গাওয়া অনেকগুলো গানের কথা সুর আমি কিছুই বুঝিনি [১]!

আমার গানের রুচি নিয়ে সমস্যা আছে। রকওয়েলের 'নাইফ' যেমন গভীর আগ্রহ নিয়ে শুনি তেমনি এক বর্ণ অর্থ না-বুঝলেও ফরাসী ভাষায় গাওয়া 'মন্ট্রিয়েল'। তাই বলে 'খায়রুন লো' গানটা শুনতে ভাল লাগে না এই মিথ্যাচার করি না।

গুলজার হোসেনের গাওয়া "রাত্রির আধার..." এই গানটা কেন আমার ভাল লাগল এর যথার্থ ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই:

Guljer.wma

সহায়ক সূত্র:
১. এতো স্টার আমরা রাখিব কোথায়?: http://www.ali-mahmed.com/2009/07/blog-post_21.html

Tuesday, 22 March 2011

অপাত্রে দান কিন্তু...!

কেউ অপাত্রে দান করলে সেটা তাঁদের সমস্যা, আমার না। কিন্তু আমার ভাঙ্গা ঘরে যে চাঁদের আলো- হায়, অশক্ত হাতে এটা ধরে রাখার যোগ্যতা কই আমার!
বললে কেউ বিশ্বাস করবেন না কিন্তু শহীদ মিনারের মত জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার কেবল মনে হচ্ছিল, এখানে দাঁড়াই কেমন করে! আমার মত অভাজনের সেই ক্ষমতা কই?

২৫ এবং ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি দুদিন ধরে 'কারক নাট্য সম্প্রদায়' শহীদ মিনারে তাঁদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছেন [১]। যখন এঁরা আমাকে ওখানে ডাকলেন তখন আমি সানন্দে যেতে রাজি হয়েছিলাম কিন্তু ঘুণাক্ষরেও কল্পনাও করিনি এঁরা আমার মত সামান্য একজন মানুষের জন্য এতো মমতা জমিয়ে রেখেছেন!

সহায়ক সূত্র:
১. কারক নাট্য সম্প্রদায়: http://www.ali-mahmed.com/2011/03/blog-post_4936.html 
   

Sunday, 13 March 2011

অদেখার পাল্লা...

মেঘে মেঘে বেলা বয়ে যায়, অদেখার পাল্লা কেবল ভারী হয়! আমি খুব কাছ থেকে আনারস গাছে আনারস ধরে আছে এমনটি দেখিনি। আমার লাগানো আনারস গাছে যখন সত্যি সত্যি আনারস ধরল তখন মুগ্ধতা ছাপিয়ে মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়, কী কান্ড!

Monday, 14 February 2011

সবার জন্য ভালোবাসা

১৪ ফেব্রুয়ারি। 'জগতের সবাই সুখী হোক- সবার জন্য ভালোবাসা' আজ এটা না-বলা ব্যতীত উপায় কী! এদিন ফুল দেয়ার চল আছে। এমনিতে আমি ভাল চকলেট অসম্ভব পছন্দ করি, কেউ দেয় না কেন কে জানে! বয়সে খুব বড়ো হয়ে গেছি বলে! :(

যাই হোক, আজ পছন্দের একজন মানুষকে এই ফুলটা দিলাম কিন্তু তার ধারণা আমি অহেতুক রসিকতা করার চেষ্টা করছি। কী আশ্চর্য, ফুলের সৌন্দর্য না-দেখে কেটেকুটে খেয়ে ফেলার স্মৃতি নিয়ে বসে থাকলে হবে না তো!  :)  

Saturday, 12 February 2011

সুখ!

গাড়ি থেকে কেউ ডাব খেয়ে ছুঁড়ে ফেলেছিল। এটা কুড়িয়ে নিয়ে শাস খাচ্ছে দুজন, ভাগাভাগি করে। এদের ঝলমলে মুখ দেখে মনে হচ্ছিল এই গ্রহের অন্য কোন আনন্দ কোন ছার!

Thursday, 10 February 2011

ইশকুলের বিশেষ শিক্ষার্থী

এই মেয়েটি 'আমাদের ইশকুল' [১]: তিনে পড়ে। এর হাঁটতে সমস্যা হয়, পোলিও! এই স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বলা আছে এই মেয়েটির হাঁটা নিয়ে যেন কেউ উচ্চবাচ্য না করে, করলে কঠিন শাস্তি।
যাই হোক,  এই মেয়েটি ঠিক ঠিক স্কুলে চলে আসে। অনুমান করি, কেবল পড়ার টানে না, খেলাও...। কারণ এই স্কুলগুলোয় নিয়ম করে যেটা করা হয় এক ঘন্টা পড়ার পাশাপাশি  ১ ঘন্টা খেলাও।




সহায়ক সূত্র: 
১. আমাদের ইশকুল: http://tinyurl.com/39egrtn

Wednesday, 9 February 2011

নারায়ন-নারায়ন, অতিথি নারায়ন

আমার জার্মানি যাওয়ার এয়ার-টিকেট, হোটেল বুকিং যত ঝামেলা সব সামলিয়ে ছিলেন, দেবারতি গুহ। তাঁর বাড়তি ঝামেলা হয়েছিল এই কারণে টিকেট কাটা যাচ্ছিল না কারণ জার্মানি দূতাবাসের সঙ্গে আমার ঝামেলা চলছিল। কেমন-কেমন করে যেন জার্মানি দূতাবাসের ধারণা জন্মেছিল আমার মত অতি সাধারণ একটা মানুষ জার্মানি যাওয়ার জন্য লালায়িত হয়ে আছি। এই কারণে আমার সঙ্গে অমর্যাদার আচরণ করাটা ওদের জন্য খুব জরুরি হয়ে পড়ে।

কিন্তু আমার আবার একটা অসুখ আছে যে জায়গা ভাল লাগে না সেখানে মুত্র বিসর্জন করে আরাম পাই না, আটকে যায়। আর আমার সাফ কথা, এটা আমার ভুমি, আমার, 'This is my land, no cowboy rides here'.[]। বাংলাদেশ সরকার ওদের কাছে কি-কি কারণে নতজানু এটা আমার জানার আগ্রহ নেই। আমি আমার আত্মা ওদের কাছে বন্ধক রাখিনি যে অসম্মানের সঙ্গে ওদের দেশে আমাকে যেতে হবে।  

যাই হোক, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি দেবারতির প্রতি। আর দূর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, মূল অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে দেবা ওরফে দেবারতির দেখা হয়নি। কারণ তিনি তার নিবাস কলকাতায় জরুরি কাজে গিয়েছিলেন।
তাই তিনি চলে এসেছিলেন অধমের ডেরায়। আবারও ভাল লাগা...!

সহায়ক সূত্র:
১. This is my land, no cowboy rides here : https://www.ali-mahmed.com/2010/05/this-is-my-land.html

Wednesday, 2 February 2011

কে কাকে সামলায়!

এ তিন নাম্বর স্কুলের ছাত্রী। প্রায়ই এর স্কুল কামাই হয়। জিজ্ঞেস করলে একই উত্তর, ছোট ভাইকে রাখতে হয়। আমার ধারণা ছিল বানিয়ে বানিয়ে বলছে। এইটুকুন একটা মেয়ে, এ আরেকটা বাচ্চাকে সামলাবে কেমন করে?
আমার ধারণা ভুল। এ তার ভাইকে সামলায়, ভালই সামলায়...।

Sunday, 30 January 2011

প্রকৃতি এবং তার সন্তানেরা

গেছি দাঁতের সমস্যা নিয়ে। যার কাছে গেছি সেই মানুষটা রসিকলাল টাইপের। মুখ তুলে বললেন, কার দাঁত দেখাবেন, আপনার না প্রজাপতির?
তখনও বুঝিনি। কিন্তু মানুষটার হাতে নিমিষেই ক্যামেরা ঝলসে উঠে। একটা প্রজাপতি দেখি দিব্যি আমার কাঁধে বসে আছে!

Saturday, 29 January 2011

চোখের ওষুধ

শীত আমার পছন্দের ঋতু না কিন্তু শীতে চারদিক ফুলে ফুলে ছেয়ে থাকে, শীতের ফুল। শীতের সকালটাই অন্য রকম। এর সঙ্গে যদি যোগ হয় চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গে পর্দা সরাতেই অজস্র ফুল তাহলে এ গ্রহের মালিন্য কাউকে স্পর্শ করে কেমন করে!

Thursday, 27 January 2011

মাটির কাছাকাছি

গায়ে রোদ লাগাবার জন্য এই জায়গাটায় বেশ রোদ থাকে, শীতের। জায়গাটাও পছন্দের, কিছু শাক-সব্জীর গাছ লাগানো হয়েছে এখানটায়। এখানেই বসে বসে দেখি লাউয়ের ডগা কেমন ঘন্টায় ঘন্টায় বেড়ে উঠে। কেমন করে ঝাপিয়ে টমেটো, সীম গাছে ফুল আসে।
একটা বসার জায়গা করলে বসে বেশ আরাম করা যেত। কাঠাল গাছটার নীচে একটা ইয়া বড় পাথর এনে রাখতে গেলে আমার মেয়েটার তীব্র আপত্তি। এই পাথরে বসলে এবং গাছে হেলান দিলে নাকি গায়ে ময়লা লাগবে! এটা জটিল কোন সমস্যা না, দু বালতি পানি ঢেলে দিলেই হয়।

এখন ভালই হলো, পা ছড়িয়ে রোদ পোহাতে পোহাতে বই-টই পড়া যাবে। কিন্তু জায়গাটা প্রায়ই বেদখল হয়ে যায়। আমার খানিকটা ঈর্ষা হয়, এ শৈশবেই মাটির কাছাকাছি থাকতে পারছে যে সুযোগটা আমার ছিল না! 

Monday, 24 January 2011

শিরোনামহীন

শীতের তখনও নামগন্ধও নেই, একজন ফোনে বললেন, কুরিয়ারে আপনার এখানে ১০০টা কম্বল পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি বিরস মুখে বললাম, আচ্ছা।
বুকে হাত দিয়ে বলি বিরক্তি লুকাতে পারিনি, কারণ আছে। এই মানুষটা আমাকে কম্বল গছিয়ে পগার পার হবেন, লম্বা সময়ের জন্য তিনি দেশের বাইরে যাবেন। পুরো ঝামেলাটা যাবে আমার উপর দিয়ে। অতীতে আমি দেখেছি কারও সহায়তা পাওয়া যায় না, একা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া কাজে-অকাজে আমার সময় কোথায়? তার উপর আছে আমার ছাতাফাতা লেখালেখি।

কিন্তু এবার খানিকটা অন্য রকম হয়, আমার প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন একজন ডাক্তার, দু-চারজন অন্য মানুষও। আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আমরা গেরিলা পদ্ধতি অবলম্বন করতাম- হিট এন্ড রান। পিঠে বোঁচকা নিয়ে, ঠিক যার প্রয়োজন তাকে দিয়েই লম্বা-লম্বা পা ফেলে চট সরে পড়া। বিচিত্রসব অভিজ্ঞতা। জন্মের শিশুকে মা যখন কম্বল দিয়ে ঢেকে দিতেন এই দৃশ্য আমি কখনও ভুলব না। ঈশ্বর, আমার মস্তিষ্ক যেন কখনও এই স্মৃতি বিস্মৃত না হয়।
আমি কাজে-অকাজে প্রচুর ছবি তুলি কিন্তু কেন যেন এমন মুহূর্তের ছবি উঠাতে ইচ্ছা করত না কারণ আমার কাছে মনে হতো, এমন দৃশ্য ক্যামেরায় আটকে ফেলা...। এটা আমাদের সেলিব্রেটিদেরই মানায়, এদের সঙ্গে পোজ দিয়ে ছবি উঠানো এবং আমাদের মিডিয়া, 'জারে মুই একটা কম্বল পাইনু', ইত্যাদি।

তো, কম্বলের সঙ্গে যোগ হলো দুই গাঁইট (প্রায় ৪০০) পুরনো কাপড়। ওয়াল্লা, এতো শস্তা পুরনো কাপড়! গাঁইট কিনলে গড়ে একটা কাপড় ২০ টাকা পড়ে! কম্বলের ব্যাপক চাহিদা, পরে আরও কিছু কম্বল কেনা হলো, এক সময় তাও ফুরিয়ে গেল।
কিন্তু একটা বিষয় আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, শেষের দিকে এখানে দেওয়ার মত আর লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ডাক্তার মানুষটা রসিক আছেন। একদিন বলছেন, আমরা বড়ো অভাগা, লোক খুঁজে পাচ্ছি না!
আহা, এমন অভাগা হওয়াও সুখের...।

Saturday, 22 January 2011

সময়ের চেয়ে পাজি আর কেউ নাই!

একদিন দেখি এ বাড়ির সামনে সাঁই সাঁই করে সাইকেল চালাচ্ছে। মেয়েটার দেখি সাইকেল চালাবার বড়ো শখ! কিনে দেয়ার কথা বলেছিল কিন্তু সময়ে অনেক কথা ফিযুল মনে হয়।
একজনের কাছে এটা পড়ে ছিল, মেয়েটা চালাবার জন্য নিয়ে এসেছে। যার কাছে পড়ে ছিল তার খুবই দ্রুত মনে পড়ে এই সাইকেলটা এমন পড়ে থাকতে দেয়া যায় না অতএব ফেরত নিয়ে আসা আবশ্যক।

Monday, 17 January 2011

৬৪ গুটি প্রতিযোগিতা

৬৪ গুটি নিয়ে লেখাটায় বলেছিলাম, একটা প্রতিযোগিতা লাগিয়ে দিলে মন্দ হয় না [১]। কাজটা যতটা সোজা মনে হয়েছিল বাস্তবে ততটা না। কারণ এঁদের সঙ্গে মনের যোগাযোগটা কঠিন- এঁরা চট করে আমাদের মত দু-পাতা পড়ুয়াদের বিশ্বাস করতে চান না। এই দায়টা আমাদেরই!

যাই হোক, লেগে থেকে কাজ হয়। ক্রমশ এঁরা আমাকে এঁদের একজন ভাবতে শুরু করেন। প্রতিযোগিতা শুরু হয়। গাজি নামের একজন মানুষ এই প্রতিযোগিতায় সবাইকে কচুকাটা করে ছাপিয়ে উঠেন। একজন ডাক্তারের হাত থেকে যখন পুরস্কার গ্রহন করেন তখন তাঁর আনন্দ দেখে কে!
 

সহায়ক সূত্র:
১. ৬৪ গুটি: http://chobiblog.blogspot.com/2011/01/blog-post_13.html

Thursday, 13 January 2011

৬৪ গুটি

আজকাল এমন দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না! খেলাটার নাম '৬৪ গুটি'। মেঝেতে ঘর এঁকে নিলেই হয় আর রেললাইন থেকে ৬৪টা পাথর।
প্রায়ই দেখি এরা নিমগ্ন হয়ে খেলাটা খেলতে থাকেন। খেলেন দু-জন কিন্তু অনেকে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেন। আমাদের দেশ থেকে খেলা বিষয়টা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এটা আমার ধারণা, অপরাধ-অস্থিরতার পেছনে এই খেলাগুলো কমে যাওয়াও অন্যতম একটা কারণ।

ভাবছি এই খেলা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা লাগিয়ে দিলে কেমন হয়?

Tuesday, 4 January 2011

রকেটের মত এই জিনিসটায় আছে কী, তবুও

একটা লাগালেই হয় কিন্তু এবার বেশ কটা লাউ গাছ লাগাতে হয়েছে। এর কারণ আছে। গত বছর যে গাছটা আগ্রহ করে লাগিয়েছিলাম সেটা একটা বাচ্চা ভেঙ্গে ফেলেছিল। আমার নিজের বাচ্চা হলে ঠাস করে চড় দিতাম। কানে কানে বলি, আমি সেই সব চুতিয়া সেলিব্রেটিদের ধারে কাছেও নাই যারা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আলাদা গাম্ভীর্য এনে ন্যাকা ন্যাকা গলায় বলেন, "আমি কখনও কোন শিশুর গায়ে হাত তুলিনি, আপনারাও তুলবেন না"।
ওই বাচ্চাটাকে চড় দিতে না-পারার কারণ এই সব কিছু না। আমি যতো জালিমই হই না কেন এই নাম না-জানা বাচ্চাটার [১] গায়ে হাত তোলা যায় না। তো, গত বছর ওই লাউ গাছটা যখন তরতর করে বেড়ে উঠছিল ঠিক তখনই ওই বাচ্চাটা গাছটা ভেঙ্গে ফেলায় গাছটার একেবারে দফারফা হয়ে গিয়েছিল। তাই এবার বুদ্ধি করে বেশ কটা লাগিয়েছি। এবার ছাড়াছাড়ি নাই- লাউয়ের আগা খাব, ডুগাও... :)


সহায়ক সূত্র:
১. নাম না জানা বাচ্চাটা: http://www.ali-mahmed.com/2010/02/game-of-light-and-darkness_09.html

Monday, 3 January 2011

মাটির গন্ধ ছড়িয়ে পড়ুক

আমার পুত্রধন সম্ভবত আমাকে দেখে দেখে এবার মাটিতে কিছু লাল শাকের বীজ ফেলেছিল। সেই বীজ থেকে কচি কচি চারা গজিয়েছিল। আজ সেই চারার গাছগুলো ও সংগ্রহ করেছে। দুপুরে লাল শাক রান্না হবে। ওর উচ্ছ্বাস দেখে আমি নরোম গলায় বলি, বেটা, সবাই মাটি থেকে গাছ বের করতে পারে না।
তার সরল প্রশ্ন, কেন?
আমি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি। কতটা বুঝল কে জানে! সবটা না-বুঝলেও সবাই যে পারে না এটা বুঝলেই ঢের।