Saturday 31 July 2010

সুখ-স্মৃতি: ২০০৯

২০০৯ সালটা (১) আমার জন্য ভয়াবহ একটা বছর ছিল, একের পর এক বিপর্যয়। মাটিতে পড়ে থাকা একজন মানুষ। পরিচিত অধিকাংশ মানুষই আমার হাত ছেড়ে দিলেন। কিন্তু কেউ কেউ শক্ত করে আমার হাতটা ধরে রাখলেন- এদের হাতে কী জোর! এই অল্প কিছু মানুষই সম্ভবত আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।

এদেরও একজন আমার বন্ধু ফাহমি, মানুষটা খানিকটা পাগলা টাইপের। সেই সময়টার কথা যখন আমি কোথাও বের হই না কেবল হাবিজাবি লেখা লিখি।
একদিন এ যেখানে থাকে, কসবায়; আমাকে, আমার পরিবারকে এক প্রকার হাইজ্যাক করে ওখানে নিয়ে গেল। অনেকটা সময় পর নিজেকে খানিকটা ফিরে পেয়েছিলাম। কত বছর হয়ে গেল পুকুরে সাতার কাটি না, পুকুরে নেমে ফিরে পেয়েছিলাম আমার হারানো শৈশব-কিশোরবেলা।

কসবা স্টেশনটা ছোট্ট কিন্তু আমার বড়ো পছন্দের। পেছনেই ভারত কিন্তু যেটা আমায় টানে, এই স্টেশনটায় পা ছড়িয়ে বসা যায়। কোন হকার, ভিক্ষুক নেই। এখানের মানুষের কৌতুহলও কম যে অহেতুক বিরক্ত করবে।
আমার পুত্রধন এবং তার মাতাজি।

কিশোরবেলায় আমরা পাগলের মত রেললাইন ধরে হাঁটতাম। এই প্রজন্মের সেইসব স্মৃতি কই! আমার মেয়েকে বলি, হাঁটবে মা? এখনকার বাচ্চারা আমাদেরকে ছাড়িয়ে যায়। তার উত্তর, গাড়ি আসবে না, বাবা? আমি বলি, আসবে, তবে সাথে বাবা থাকলে হাঁটা যায়।
 
* ১. সালতামামি, ২০০৯: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_31.html  

হারানো স্মৃতি: ২০০৭


ছবিতে আমি, ঝড়ো, মাশা। ছবিতে সাদিকেরও থাকার কথা কিন্তু মিসিং। এর একটা কারণ হতে পারে ছবিটা উঠিয়েছে সাদিক :)
সালটা সম্ভবত ২০০৭। থ্রি মাস্কেটিয়ার: সাদিক, মাশা, ঝড়ো হাওয়া, এরা সবাই শহুরে মানুষ। এরা আমার এখানে আসবেন। না করি কেমন করে কিন্তু মনে মনে বলি, আমার এখানে দেখার কি আছে রে, বাপ! আমি থাকি গ্রাম-গ্রাম টাইপের একটা জায়গায়, এই নিয়ে খানিকটা সংকুচিতও। 
পারতপক্ষে আমি ঢাকা যেতে চাই না কিন্তু ওদিন জরুরি একটা কাজে যেতে হয়েছিল। ফিরছিলাম একসঙ্গে।

এখানে সাদিককে পাওয়া গেল। সম্ভবত এই কারণে ছবিটা সে নিজে উঠাচ্ছিল না :) 

এরা এখান থেকে ফিরে গিয়ে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে জনে জনে পোস্ট দেয়া শুরু করল। একগাদা মিথ্যার বেসাতি...।     
সাদিক: http://www.somewhereinblog.net/blog/mysticsaint/28701602
মাশা: http://www.somewhereinblog.net/blog/mashablog/28701658
ঝড়ো হাওয়া: http://www.somewhereinblog.net/blog/jhorohowa/28701617

Friday 30 July 2010

উত্তর জানা নেই


ঢাকা যেতে টংগির কাছাকাছি একটা লেকের মত জায়গা আছে। ওটার কিনারে সাদা-সাদা এই ফুলের গাছগুলোতে ফুলে ছেয়ে থাকে। 
রেলগাড়ি থেমে আছে। কে এই দুর্দান্ত সৌন্দর্য দেখল, কে দেখল না এটা আমার জানা নাই কিন্তু কেবল এই ছেলেটিই গাড়ি থেকে নামল। আর কেউ না, আমিও না। 

ক্যারিকেচার-ছবিকেচার


এক সময় ছবি নিয়ে ক্যারিকেচারে খুব মেতেছিলাম। এটায় কেবল চুল, চোখ বদলে দিয়েছিলাম এবং ব্যান্ড-এইডটা জুড়ে দিয়েছিলাম।

ফুলের জাতিধর্ম!


ফুলেরও যে জাত থাকে এটা আমার জানা ছিল না।
প্রচুর জবা ফুল ফোটে। ফুলের পাপড়িগুলো আলাদা করে একটা এন্টিক বাটিতে রেখে দেই, পানিতে ভাসতে থাকে। দেখতে ভালই লাগে। কাজটা করা হয় নিয়ম করে। লোডশেডিং-এর রাতে কখনও জ্বলে মাঝখানে মোমবাতি, রাতের বেলায় অন্য রকম লাগে, আমার খুব পছন্দের।

একদিন একজন ফট করে বলে বসেন, হিন্দুদের ফুল রাখছেন কেন? এর বক্তব্য হচ্ছে জবা হিন্দুদের ফুল।

শৈশবে শুনতাম, কালো পিপড়া মুসলামান, লাল পিপড়া হিন্দু। বড়ো হয়ে শুনলাম, জবা হিন্দুদের ফুল! আমার মনে হচ্ছে, এখনও শৈশবেই রয়ে গেছি, বড়ো হইনি। অপেক্ষায় আছি, কবে বড়ো হবো...।

*জুলাই, ২০১০

Thursday 29 July 2010

পানাম নগরে, ২০০৬


আমি এবং সাদিক আলম। ক্যামেরার সামনে ছিলাম আমি, পেছনে সাদিক আলম। :)