Thursday 30 June 2011

:)

­বি, এ ডিগ্রি প্রধান শিক্ষক পদবীকেও ছাড়িয়ে যায়!

Sunday 19 June 2011

বিষ বানানোর কথা

­বেশ ক-দিন ধরেই বাচ্চাদের এবং বাচ্চাদের সাঙ্গোপাঙ্গদের ফিসফাস শুনছিলাম। নিজেদের মধ্যে সবিরাম গুজগুজ! লক্ষ করেছি, এরা নিজেদের মধ্যে কিসব যেন গোপন শলা করছে।
যে কাগজটা নিয়ে এদের চরম গোপনীয়তা তা কেমন কেমন করে যেন আমার হাতে চলে আসে। আমি নিশ্চিত, এটা এরা বুঝতেও পারেনি। হু-হু, আমার বুদ্ধি যে এদের চেয়ে খুব একটা কম না এটা কি এরা জানে না! কাগজটার ফটোকপি করে মূল কাগজটা জায়গায় রেখে দিয়েছি।

এটা বিষ বানাবার গোপন রহস্যটা আমি এখানে দিয়ে ভুল করছি কিনা বুঝতে পারছি না। কোকাকোলা বানাবার রহস্য জনে জনে জেনে গেলে লাভ কী! যদিও ভুলভাল বানানে লেখা কারণ লেখক মহাশয় ক্লাশ ওয়ানে পড়ুয়া!
উপকরণগুলো যতটুকু মনে পড়ছে নষ্ট হয়ে যাওয়া ট্যাবলেট, গাছের বিভিন্ন পাতা, বহু পূর্বে ফেলে দেয়া একটা মেক-আপ বক্স। হাবিজাবি আরও অনেক কিছু। তো, কাগজে যা লেখা ছিল তা এমন:
"বিশ বানানোর কথা
১ নাম্বার: পানি নাও। ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া নষ্ট টেবলেট পেলে তাকে হাম্বালদাস্তাতে গোরা করবে।
২ নাম্বার: গুরাগুলি পানির সাথে মিসাও। তারপর মেকআপ বকস বের করে যে পানিতে টেবলেট গুরা করসো সেই পানির ভিতর মেকাপবকস থেকে রং দাও।
৩ নাম্বার: যেই পানিতে মেকআপ বকসের রং দিসো ওই পানিটার মধ্যে তুমি নীল ফালাবে। নীল একটা জিনিস। এটা দিয়ে আমরা কাপড় ধোই। সেটা তুমি আমাদের বাসায় আসলে বুঝবা।
৪ নাম্বার: যেই পানিতে টেবলেট ও রং দিয়েছিলে সেই পানিতে সেম্পু ঢালবে। সেম্পু দিবে যত ইচ্ছা তত।
৫ নাম্বার: সেম্পুটাকে একটা বুতলে ভরে মুখ লাগিয়ে দশ মিনিট ধরে এটাকে ঝাক্কাবে।
৬ নাম্বার: তারপর সাবান নিবে, জালিতে ঘসবে। যে জালি দিয়ে আমরা সাবান ঘসে ঘসে আমাদের শরীর ঘসি। সেই জালি।
৭ নাম্বার: সাবানটার অনেক ফেনা করবে। তারপর এটাকে আরেকটি বুতলে ভরবে। তারপর মেকাপ বকস থেকে যে কোন রং দিতে পার। মেকাপ বকস না থাকলে এইটার জন্য আমার বাসায় আসতে পারো।
৮ নাম্বার: যে পানিতে ফেনা ঢেলেছিলে ওই পানিটা বারবার করে নাড়বে প্রায় ১২ মিনিট নাড়বে।
নাম্বার : সামান্য একটু পেসট দিবে তারপর লারা দিবে।
১০ নাম্বার: সেই গাছের পাতা নিবে যে গাছের পাতায় রস আছে।
১১ নাম্বার: হাম্বলদিস্তা দিয়ে সেই পাতাকে ছেচবে তারপর সেই রসটা সেই বুতলে ঢালবে।
১২ নাম্বার: চামচ দিয়ে যে বুতলে রস ঢেলে ছিলে সেই বুতলের মুখ্খা লাগিয়ে প্রায় ৫ মিনিট ঝাক্কাবে ।


কাগজটায় আর কিছু লেখা নাই। বিষ বানাবার গোপন রহস্যের কি এখানেই সমাপ্তি নাকি... এটা আমার জানা নেই। ঠিক করেছি হাতেনাতে এই মারাত্মক বিষ বানিয়ে নিশ্চিত হবো।

Saturday 18 June 2011

ছোট-ছোট আনন্দ

­আনারস ধরা নিয়েই আমাদের আনন্দের শেষ ছিল না। যেটা নিয়ে একটা লেখাও দেয়া হয়েছিল [১]। একটাই গাছে একটাই আনারস, তবুও কী আনন্দ! তবে এই আনারস শেষ পর্যন্ত খাওয়ার জন্য উপযোগী হবে বা চোরের হাত এড়াতে পারবে এই জোর বিশ্বাস ছিল না।

বাচ্চাদের এবং তাদের পরিচিত বাচ্চাদের আজ মহা আবিষ্কার! আনারসটা গাছ থেকে আলাদা করা মাত্র বিশ্বকাপের ট্রফির মত এদের উল্লাস
 
সহায়ক সূত্র:
১. অদেখার পাল্লা: http://chobiblog.blogspot.com/2011/03/blog-post_13.html

Wednesday 15 June 2011

প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা

­কোথাও আমি লিখেছিলাম, 'একজন মানুষ হওয়ার জন্য প্রকৃতির কাছাকাছি থাকাটা জরুরি, অতি জরুরি'।

সবুজে, সবুজ জামা পরে এ এমন করে গাছটাকে জড়িয়ে ছিল, মিশে ছিল, ঠিক আলাদা করে উঠতে পারিনি! বোঝার পর মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে ছিলাম।
প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পারাটা যে কী জরুরি এটা হয়তো এই শিশু এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারবে না। কিন্তু প্রকৃতি তাকে ভুলবে না, হাতে ধরে ধরে শেখাবে...

Wednesday 1 June 2011

ছাগল- ছাগলামি- ছাগলাদ্যঘৃত!

ছাগল নিয়ে আমাদের কোথায় যেন একটা ভজকট আছে। এদের নিয়ে অহেতুক বিস্তর হাসাহাসি হয়। কোনও মানুষের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করার জন্য তাকে ছাগলের সঙ্গে তুলনা করা ব্যতীত আমাদের গতি কী! 

কেন আমরা এমনটা করি? প্রাণীকূলে কী ছাগল ব্যতীত আর কোন নির্বোধ প্রাণী নেই! খুব একটার দূরে যাই না, মানুষ কাক খায় না তবুও কাক মানুষকে বিশ্বাস করে না, কবুতরের কিন্তু মানুষের উপর বিশ্বাসের অভাব নাই অথচ কবুতর পেলেই মানুষ কপ করে খেয়ে ফেলে। কবুতরের সামনে ছুঁরি শান দিলেও এ খুনির হাত থেকে গম খাবে! কী নির্বোধ!





অথচ নির্বোধের বদনাম কিনা কেবল ছাগলের! এই ছাগল মহাশয় ওষুধের দোকানে কেন এসেছিলেন এটা আমার জানা নাই। আই বেট, ছাগলাদ্যঘৃত কেনার জন্য আসেননি! জিগেস করিনি কারণ বাংলা ব্যতীত অন্য ভাষার উপর আমার দখল নাই এটা আজ সলাজে স্বীকার গেলুম।

ইনার ছবি 'খিঁচাবার' বেলায় খুব একটা আপত্তি আছে এমনটা তো মনে হলো না! চমৎকার মাথা ঘুরিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখিও হয়েছেন। ছবি তোলার সময় 'চিজ' বলার নিয়ম থাকলেও আমি ইচ্ছা করেই বলিনি কারণ এ আবার ফটাফট 'এংরেজি' বলা শুরু করলে সমস্যায় পড়ে যেতাম...।