Saturday 19 June 2021

কী ভয়ংকর!


দেখলে মনে হবে 'লুকটা' বড় আবেগ দিয়ে গাইছে। এবং নিঃসন্দেহে ভাল গাইছে। কিন্তু কেবল একটা স্টিল ছবি দিয়ে যে-কোনও মানুষকে দিয়ে এমনতরো গান গাওয়ানো সম্ভব! কী সর্বনাশের কথা...!

Sunday 26 August 2018

শৈশব ফিরে আসে, বারবার।

রেলগাড়ি-ঝমঝম, নীচে পড়লে আলুর দম। রেলগাড়ি নিয়ে আমার শৈশবের যে স্মৃতিটা এখনও দগদগে সেটা হচ্ছে রাতের বেলা বিকট শব্দে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠা। মনে হত কেউ একের-পর-এক কামান দাগছে!

না, কামান রেলগাড়ি দাগে না। ঘটনা অন্য। তখন তো আর কিচেনে কেবিনেট-টেবিনেট টাইপের কিছু ছিল না। আমার মা করতেন কি রাজ্যের হাড়ি-পাতিল দেয়ালে পেরেক মেরে আটকে রাখতেন। হাতুড়ি বিশারদ একজন ছিলেন, মাহতাব মিয়া। তিনি পেরেক মেরে-মেরে বেচারা দেয়ালের বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলেন। 
গভীর রাতে দুদ্দাড় করে যখন ট্রেন যেত সেইসব হাড়িপাতিলের অধিকাংশই মেঝেতে শুয়ে পড়ত। তাদের শোয়ার শব্দ ছিল কামান দাগার চেয়ে কম না! তদুপরি আমার কাছে রেলগাড়ির আকর্ষণ ছিল কম না। 

ব্রেন স্ট্রোক সংক্রান্ত গাও-গেরামের একটা কথা আছে, 'ব্রেন লইড়া গেছে'। আসলে ব্রেন বেচারার নড়ানড়ির সুযোগ নাই কিন্তু ব্রেন ঘুঁটা খায় মতান্তরে স্মৃতির নাড়াচাড়া। আহ স্মৃতি, স্মৃতিই বাঁচিয়ে রাখে মানুষকে নইলে কবে আমরা মরে ভূত হয়ে যেতাম- ভূত মানে চলমান জম্বি আর কী।

তো, যেমনটা আজ একে দেখে শৈশব ফিরে আসে...।




    

Sunday 10 January 2016

শীত আসে-শীত যায়…।

প্রকৃতির নিয়ম ধরে শীত আসে আবার নিয়মের হাত ধরে শীত বিদায়ও নেয়। কাপড়ের পোঁটলা হালের কাবার্ডে এরা (যার চালু নাম ব্লেজার) ঘুমায়, চুপচাপ, বছর জুড়ে। কেবল শীতে বের হয়, রোদে শুকায় কখনও-বা ড্রাই ওয়াশের নামে এদের উপর নির্যাতন নেমে আসে। যথারীতি গরমের শুরুতে আবারও রোদে শুকায় কাবার্ডে ফিরে যায়। ফি বছর এই-ই চলে আসছে।

ব্লেজারগুলো পরা হয় না কারণ পরে আমি আরাম পাই না। চোরের মত একটা আড়ষ্ট ভাব চলে আসে। এবারই খানিকটা ব্যত্যয় হলো…।

Friday 5 December 2014

অবগতি

এই লেখাটা কেবল আমার সুহৃদ এবং বন্ধুদের জন্য।

জুকারবার্গ একদা একটা টিকটিকির ডিম পেড়েছিল। কালক্রমে, কোনও এক বিচিত্র কারণে সেই টিকটিকির ডিম ফুটে বের হল এক ডায়নোসর! দানবীয় তার ক্ষমতা এটা এখন আর অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। অজস্র উদাহরণ থেকে কেবল একটা বলি। প্রথম আলোর মত আরেক দানবকে দেখেছি নাছোড়বান্দা ভিক্ষুকের মত ‘লাইক’ ভিক্ষা করতে। ওয়াক!

ফেসবুক জায়গাটা এখন আর ভাল লাগছে না। আপাতত ফেসবুকে লেখালেখি করতে উৎসাহ পাচ্ছি না- এখানকার অতিরিক্ত আলো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়ায় অন্ধ হয়ে গেলে সেটা কোনও কাজের কাজ হবে না। লেখালেখি আমার প্রাণ! যেদিন লেখা বন্ধ হয়ে যাবে সেদিন আমি হয়ে পড়ব এক ‘জম্বি’! ‘জম্বি’ হওয়ার গোপন কোনও ইচ্ছা আমার নাই বিধায় আমার নিজের সাইটে হাবিজাবি লিখব ঠিকই। তাই আমি আমার পুরনো জায়গা, www.ali-mahmed.com -এ ফিরে যাওয়াটাই আরামের মনে করলাম।

ফেসবুকে যোগাযোগ করাটা অনেকটা সহজ তাই আপাতত এই আইডিটা ডিঅ্যাকটিভ করছি না। কারও বিশেষ কোনও প্রয়োজন হলে ইনবক্স খোলা রইল। আর এই লেখার সূত্র ধরে কোনও প্রকারের প্রশ্ন-উত্তর পর্ব সবিনয়ে এড়িয়ে যাচ্ছি কারণ যা বলার বিশদ এই লেখায় বলে ফেলছি। যারা আমাকে অজানা কারণে পছন্দ করেন এবং যারা জানা কারণে অপছন্দ করেন এদের সবাইকে শুভেচ্ছা...।