Sunday 17 July 2011

তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর...

­"তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর..."। বাকীটা ভুলে গেছি! কোন কিছু মনে পড়ছে না, এ কারণে এখন আর ভারী শ্বাস ফেলি না কারণ এতদিনে আমি জেনে গেছি কোন-না-কোন অপূর্ণতা কারও-না-কারও থাকেই। যখন সবাইকে মগজ বিলি করা হচ্ছিল তখন আমারটা ভুলে ভরা হয়নি! :(


যাক, কখন এই পেয়ারা গাছটা লাগিয়েছিলাম মনে নাই। কারণ জায়গাটা 'অজাগা-কুজাগা' মানে ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না তেমন।
ওয়াল্লা, 'আয় বৃষ্টি ঝেপে'-এর মত আয় পেয়ারা ঝেপে টাইপ পেয়ারা ধরেছে।

আমার এখানে আসার জন্য যারা গড়িমসি করছিলেন তাদের জন্য উপদেশ, 'পেয়ারা খাইলে আর দিরং করিয়েন না...'।

Thursday 14 July 2011

সুন্দর-অসুন্দর!

­এই মহাশয়ের নাম, পিরানহা- রাক্ষুসে মাছ! অতি লোভের কারণে আমাদের দেশে এই মাছের চাষ করা হয় এটা যে জানতাম না এমন না, কিন্তু...।


আমি পূর্বে যে পোস্ট দিয়েছিলাম হাইড হাউজ [১] নামে, ওখানকার দৃশ্য দেখে একজন মন্তব্য করেছিলেন এটা স্বর্গ নাকি! যিনি এই মন্তব্য করেছেন তাঁর এই মন্তব্যে অনেকে অতিশয়োক্তি খোঁজার চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু জায়গাটা আসলেই অসম্ভব সুন্দর!
কিন্তু এখানকার একটা বিষয় আমাকে বড়ো পীড়া দেয়। সুন্দরের পাশাপাশি তীব্র অসুন্দরের ছোঁয়া!

কী আর করা! এ গ্রহের সবচেয়ে সুদর্শন মানুষটিও বয়ে বেড়ান একপেট আবর্জনা। ভাগ্যিস, অনেকখানি ঢেকে রাখে প্রকৃতির চাদর, চামড়া দিয়ে মোড়ানো। বাকীটা কাপড়ের বদান্যতা।

এই যে বিশাল পুকুর, এখানে যিনি মাছ চাষ করেন তাঁকে মোটেও জেলে বলার যো নাই। কেবল যে অনর্গল ইংরাজি বলেন এই না, অপূর্ব তাঁর বাচনভঙ্গি। দুনিয়ার তাবৎ বিষয় তাঁর নখদর্পনে। তাঁর সঙ্গে যে কেমন করে সময় কেটে যায় বোঝার যো নেই।
আমার সঙ্গে ঠোকাঠুকি লাগার একটাই বিষয় সেটা হচ্ছে তিনি দেশের উপর বীতশ্রদ্ধ- দেশটা ঠিকমত চলছে না, চলছেন না দেশের লোকজনও। সুযোগ পেলে যে কোন উপায়ে তিনি এই দেশ থেকে ইউরোপের কোথাও চলে যেতে চান। তাঁর নাকি শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। দেশ নিয়ে তাঁর কমন সংলাপ হচ্ছে, '...হেল আউড অভ হিয়া...'।

তিনি অর্জুনের মত অব্যর্থ নিশানায় একের পর এক যুক্তির তীর ছুড়ে আমাকে কাবু করার চেষ্টা চালিয়ে যান। আমি দুর্বল মানুষের মত চিঁ চিঁ করি। আমি বিশেষ যুক্তি-টুক্তির ধার ধারি না। আমার সাফ কথা, প্রয়োজনে আমার আয়ু পাঁচ বছর কমে যাক কিন্তু দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না। শেষ সময় পর্যন্ত দেশের মাটি কচ্ছপের মত কামড় দিয়ে পড়ে থাকব। এখানে দেশের প্রতি ভালবাসা-টাসা কিছু না। আমি একজন দুর্বল মানুষ ততোধিক দুর্বল আমার মন!

এই মানুষটা এখানে মাছ চাষ করতেন এটা আমি জানতাম কিন্তু তিনি যে এখানে অতি লাভের কারণে পিরানহা মাছ চাষ করেন এটা আমার জানা ছিল না। তিনি আমাকে এর পেছনে অনেক যুক্তি-টুক্তি দিয়ে বোঝাবার চেষ্টা করলেন তাঁর কোন যুক্তিই আমার কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয়নি।

এই হচ্ছি আমরা। এমনিতে আমরা লম্বা লম্বা বাতচিত করব কিন্তু নিজেরা কি এটা জানতে চাইব না। আফসোস, বড়ই আফসোস!
এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না আমি নিজেও এই দোষে দুষ্ট...।

সহায়ক সূত্র:
১. হাইড হাউজ: http://chobiblog.blogspot.com/2011/07/blog-post_07.html   

Thursday 7 July 2011

হাইড-হাউজ


­আমাকে খোঁজার লোকজন তেমন বিশেষ নেই। তবুও কখনও কখনও কেউ-কেউ আমায় খুঁজে পান না, ফোনে পান না। পরে এটা নিয়ে জবাবদিহিতা করলে আমি হালকা চালে বলে দেই, হয়তো নেটওয়ার্ক ছিল না। ডাহা মিথ্যা! এই মিথ্যাচারের জন্য আমার বুক কাঁপে না।
বিষণ্ন বোধ করলেই ফোন-টোন বন্ধ করে সোজা এই জায়গাটায় চলে যাই। এখানে একটা কুড়ে ঘরের মত আছে। কঠিন সময় যে কেমন করে কেটে যায়!


জায়গাটার ছবি দিয়ে দিলুম। কেউ পারলে জায়গাটা খুঁজে বের করুক। :-D

Saturday 2 July 2011

অপার সৌন্দর্য!

­আমার সাধারণ সেল-ফোনের ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার সেই ক্ষমতা কই এর পুরোটা সৌন্দর্য ধরে রাখে! মাটি ব্যতীত কেবল তুলোর মাঝে সামান্য পানি রেখে এই বীজগুলো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কী তরতর বেড়ে উঠেছে! কী গাঢ় সবুজ!
এই ছোট্ট একটা দৃশ্য মনটা অন্য রকম করে দেয়- আশেপাশের সমস্ত মালিন্য তখন তুচ্ছ মনে হয়!

আলো আন্ধার